রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ছাতকে দু’উপজেলার ২০ হাজার লোকের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ছাতকে দু’উপজেলার ২০ হাজার লোকের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

আজহার আলম, ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের ছাতকের দু’উপজেলার প্রায় ২০ সহস্রাধিক লোকের যাতায়াত ব্যবস্থার সর্বশেষ অবলম্বনটুকুও সুরমার ভয়াবহ ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে। ছাতক-মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা-পীরপুর সড়ক দিয়ে ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজন যাতায়াত করেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার মুক্তিরগাঁও এলাকায় পাকা সড়কটি নদী ভাঙ্গনে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল ও ইছাকলস ইউনিয়নসহ ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও আটগ্রামের প্রায় ২০ সহস্রাধিক লোক যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগে পড়েন। এরপর যানবাহন ছাড়াই সহস্রাধিক বালু ভর্তি বস্তা ফেলে পায়ে হেটে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এলাকাবাসির উদ্যোগে দেয়া এসব বালু ভর্তি বস্তা অল্পদিনেই সড়কের পাকা স্ল্যাব, বস্তা, বাঁশসহ প্রায় ৫শ’ ফুট নিচে তলিয়ে যায়। পরে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় দেয়া হয় বাঁশের ব্রিজ। কিন্তু এটিও গত ২২ এপ্রিল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে এলাকাবাাসির সর্বশেষ অবলম্বনটুকুও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাগামি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া এখন বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। শুধু সড়ক নয়, সুরমা নদীর ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে মুক্তিরগাঁও, শিমুলতলা, হরিশপুর, পীরপুর, গৌরীপুর, রামপুর, সিকন্দরপুর, উজিরপুর, নূরুল্লাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক বসতবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। নদী ভাঙ্গনের আশংকায় প্রহর গুণছেন আরো অসংখ্য পরিবার। এ সড়কে মুক্তিরগাঁও, শিমুলতলা, হরিশপুর, রংপুর, নানশ্রী, পীরপুর, গেšরীপুর ও মিত্রগাঁওসহ দু’উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন যাতায়াত করছেন। এ ব্যাপারে কালারুকা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিরগাঁও নিবাসী নজরুল হক, সাবেক মেম্বার নূরুল হক, আব্দুল মতিন, আরশ আলী, নূরুল ইসলাম, বর্তমান মেম্বার ফজলু মিয়া, আব্দুল মুকিত, সদস্য ফুলেছা বেগম, ব্যবসায়ি মনোহর আলী, সাজিদুর রহমান, আরব আলী, ভূতু দাস, জওহর লাল দাস, সফিক মিয়া, আব্দুস সালামসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন জানান, তাদের সর্বশেষ অবলম্বনও টুকুও এখন ভেস্তে যেতে বসেছে। ফলে এখন থেকে পাঁেয় হেটেও চলাচল করা যাচ্ছেনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com